স্বদেশ ডেস্ক:
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা জীম ক্ষতবিক্ষত হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। হামলার শিকার শাকিল আহমেদ জীম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ার আজিমউদ্দিনের ছেলে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড় বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জীম জেলা ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির দপ্তর সম্পাদক পদে মনোনিত আছেন বলে নির্ভরযোগ্য এক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার পরপরই সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ওই এলাকা জনশুন্য হয়ে যায়। এলাকাজুড়ে থমথমে বিরাজ করছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, রাতেই আহত জীমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক দিন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার ছাত্রলীগ নেতা শারাফাতের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা জীমের কোনো এক বিষয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। পরে উচ্চপর্যায়ের নেতারা ঝামেলা মিটিয়েও দেন। কিন্তু গতকাল রাতে চুয়াডাঙ্গার শহরের নিকটবর্তী দৌলতদিয়াড় বাসস্ট্যান্ড নামক স্থানে পূর্বের বিষয় নিয়ে হিরক ও শারাফাতের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা জীম আবারো তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হিরক ও শারাফাত উত্তেজিত হয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা জীমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এমন সময় জীম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হিরক ও শারাফাত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জীমকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সদর হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, ‘আহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে। পিঠে তিনটি বড় কোপের আঘাত রয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘ছাত্রলীগের একই গ্রুপে অভ্যন্তরীন কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে জীম নামের একজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। তবে যেকোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলসহ শহরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে টহল জোরদার করা হয়েছে।’